জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়।
ফুল দেওয়ার পর জাতির জনকের সমাধি প্রাঙ্গণে মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি টুঙ্গীপাড়া পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আবদুর রহমান, হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
টিপু মুন্সী, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, এনামুল হক শামীম, বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন, শেখ ফজলুল করীম সেলিম, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল, শেখ ফজলে ফাহিম, শেখ সারহান নাসের তন্ময়ও উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতির পিতার সমাধী সৌধ কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
শিশু প্রতিনিধিদের স্বাগত বক্তব্য, গোপালগঞ্জ জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের লোগোর রেপ্লিকা গ্রহণ, বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, বঙ্গবন্ধুকে লেখা শ্রেষ্ঠ চিঠি পাঠ, সেলাই মেশিন বিতরণ, ‘আমার কথা শোন’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান, কাব্যনৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশু শিল্পীদের ফটোসেশন, বইমেলা উদ্বোধন ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী রয়েছে এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে সরকার এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ।
সকাল পৌনে ৭টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেন্ত্রেী শেখ হাসিনা। বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন তিনি।